দৃশ্যটা ইংল্যান্ড সমর্থকদের জন্য বুকে শেল হয়ে বেঁধার মতো। পেনাল্টিতে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে মেরেছেন হ্যারি কেইন। আর তা দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, যে হাসিতে খুশি আর বিদ্রূপ মিলেমিশে একাকার।
শেষ পর্যন্ত ৮৪তম মিনিটের ওই পেনাল্টি মিসই ইংল্যান্ডের জন্য আক্ষেপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফ্রান্সের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় ইংল্যান্ড।
ম্যাচে সেটি ছিল ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় পেনাল্টি। এর আগে ৫৪ মিনিটে পাওয়া প্রথম পেনাল্টি কাজে লাগিয়ে ইংলিশদের সমতায় ফেরান কেইনই। পেনাল্টিতে তাঁর প্রতিপক্ষ যিনি ছিলেন, ফ্রান্স গোলকিপার উগো লরিস ক্লাব ফুটবলে কেইনেরই সতীর্থ। দুজনই খেলেন প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব টটেনহামে। প্রথম দফায় সহজে বল জালে জড়ালেও দ্বিতীয় পেনাল্টিতে লরিসকে চ্যালেঞ্জেই ফেলতে পারেননি।
কেইন যখন পেনাল্টি শট নিচ্ছিলেন, মাঝমাঠে এমবাপ্পে হাঁটুর ওপর হাত ঠেকিয়ে মাথা ঝুঁকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পেনাল্টি মিস হতেই উচ্ছ্বসিত এমবাপ্পে এমন অট্টহাসি মেতে ওঠেন, যা দেখে ‘অসম্মানজনক’ প্রতিক্রিয়া বলে মন্তব্য করেছেন অনেক ইংলিশ সমর্থকেরা।
বিবিসি স্পোর্টসের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে কেইনের পেনাল্টি মিস ও এমবাপ্পের প্রতিক্রিয়ার দৃশ্য পোস্ট করা হলে সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। একজন লিখেছেন, ‘এমবাপ্পের এই হাসি বিদ্বেষপূর্ণ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘বিশ্বকাপ জিতেও এমবাপ্পে এভাবে হাসেননি, এটা অপমান।’
কেউ কেউ অবশ্য এমবাপ্পের হাসি নিয়ে পাল্টা মতও দিয়েছেন। যেমন ফরাসি এক সমর্থক লিখেছেন, ‘এখানে অসম্মানের কিছুই নেই। প্রতিপক্ষ গোল করতে পারেনি, এ জন্য সে খুশি হয়ে উদ্যাপন করেছে। সবার প্রতিক্রিয়াই এ রকমই হতো। সে কি নিজের আনন্দ প্রকাশ করতে হাসতে পারবে না?’