সূত্র: নিউজ২৪
ছবি: নিউজ ২৪
গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতির গাড়ি বহরে আওয়ামী লীগের হামলায় দলটির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হয়েছেন।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, শুক্রবার (১৩ সেপ্টম্বর) বিকেল ৫টার দিকে গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম জিলানীর গাড়ি বহরে হামলা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না এবং সংবাদকর্মী মানিকসহ অন্তত ৪০জন আহত হয়।
আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে পথসভা শেষ করে গাড়ি বহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ কর্মীরা। এসময় তাদের গাড়ি বহর সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের ব্যানার ছেড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সাথে বিবাদে জড়ায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এত কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ ৪০
গোপালগঞ্জে হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত, আহত ৪০
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতির গাড়ি বহরে আওয়ামী লীগের হামলায় দলটির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হয়েছেন।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, শুক্রবার (১৩ সেপ্টম্বর) বিকেল ৫টার দিকে গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম জিলানীর গাড়ি বহরে হামলা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না এবং সংবাদকর্মী মানিকসহ অন্তত ৪০জন আহত হয়।
আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে পথসভা শেষ করে গাড়ি বহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ কর্মীরা। এসময় তাদের গাড়ি বহর সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের ব্যানার ছেড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সাথে বিবাদে জড়ায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এত কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ ৪০ জন আহত হন।
সংঘর্ষের ৩ ঘণ্টা পর ঘোনাপাড়া থেকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। মরদেহ হাসপাতালে আনার পর জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রফিকুজ্জামানসহ বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা সেখানে যান।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিল। এ সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলের অদূরে পাথালিয়া বাংলালিংক টাওয়ারের পাশ থেকে শওকত আলী নামে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শওকত আলী ঢাকায় ক্রিকেট আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন বলে জানা গেছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, তাঁর স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা (রত্না), রাজু বিশ্বাস, মাহাবুব খান, লিন্টু মন্সী, গোপালগঞ্জের সালমান সিকদার, সুজন সিকদার, সবুজ সিকদার, ঢাকার মতিঝিল এলাকার নাসির আহমেদ মোল্লা, বাদশা মোল্লা, নিশান, হাসান প্রমুখ।
আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এবং তিনজনকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এস এম জিলানী, তাঁর স্ত্রী রওশন আরা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বাদশা মোল্লার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা ও গোপালগঞ্জ জেলার নেতা-কর্মী। এ সময় সময় টিভির গোপালগঞ্জের ক্যামেরা পারসন মানিক হাওলাদারের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বেধড়ক পেটানো হয়।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ১৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁদের অধিকাংশের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশি অস্ত্রের কোপ আছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান বলেন, বেদগ্রাম মোড়ে বিএনপির একটি পথসভা শেষ করে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। ঘোনাপাড়ায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দুই থেকে তিন শ নেতা-কর্মী দেশি অস্ত্র নিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা করেন।
#gbnnews #gbnews #newstoday #bangladesh #bangladeshcrises #bd #journal